ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতার ফলাফল হিসেবে বর্ণনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ১০ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সুদানির সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। খবর আলজাজিরার।
পুতিন বলেন, ‘আমি মনে করি, অনেকেই আমার সঙ্গে একমত হবেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির ব্যর্থতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।’
পুতিন বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে ‘একচেটিয়া’ বানানোর চেষ্টা করেছে ওয়াশিংটন। পুতিন আরও অভিযোগ করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষের মধ্যে গ্রহণযোগ্য সমঝোতার বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে বরং দ্বন্দ্ব সমাধানে নিজেদের পরিকল্পনাগুলো ঠেলে দিয়েছে।’
স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিসহ ফিলিস্তিনিদের স্বার্থগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র উপেক্ষা করেছে বলেও অভিযোগ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এদিন মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে কিছু উল্লেখ করেননি পুতিন।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাশাপাশি ২০০২ সাল থেকে একটি ‘চতুর্থ শক্তি’ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে মস্কো।
এদিকে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, ক্রেমলিন ইসরায়েল এবং গাজার যুদ্ধরত উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং সংঘাতের সমাধানে ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করবে। তবে এটি কীভাবে সম্ভব হবে, সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি তিনি।
পেসকভ বলেন, ‘আমরা সমাধানের উপায় খুঁজতে সহায়তা প্রদানে আমাদের ভূমিকা ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই।’
ফিলিস্তিনের গাজা, দখলকৃত পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে হামাস ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। টানা চতুর্থ দিন মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) দিনগত রাত পর্যন্ত ফিলিস্তিনের (গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীর) ৯০০ জনের বেশি এবং ইসরায়েলের ১০০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা ওসিএইচএ ১০ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বলেছে, ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় দুই লাখ ৬৩ হাজার ৯৩৪ জন তাদের বাড়িঘর হারিয়েছেন। এছাড়া সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঠিকানা/এসআর